আলহামদুলিল্লাহ!
আমাদের মাদ্রাসাগুলো সমাজকে নায়েবে রাসূল, হিদায়াতের বার্তাবাহী, মানবতার সংরক্ষন ও টিকে থাকার পথ প্রদর্শণকারী 'অতন্দ্র প্রহরী' উপহার দিয়ে চলেছে। এই আধুনিক বিশ্বে দ্বীনের পথ প্রদর্শক হবার জন্য, ইসলামের জন্য বহুমুখী যোগ্যতার প্রয়োজন। প্রয়োজন এমন একজন আলেমে দ্বীন যারা আরবী ভাষার পাশাপাশি সমসাময়িক আধুনিক বিশ্বের এমন কিছু নলেজ/কনসেপ্ট অর্জিত থাকা যে আলেমকে অন্তত পক্ষে আধুনিক শিক্ষিত মানুষের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্বীনের দাওয়াত উপস্থাপনা করতে পারে।
সেকেলে মানুষিকতা, পশ্চাদপদতা, পারশ্রিকাতরতা, প্রগতির অন্তরায় মূর্খতা, আধুনিক জিহালাত এ সকল বিষয়ে অপনোদন করে তারা ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে সর্বোচ্চ আন্তরিক হবে।
নিজেরা হবে আলোকিত মানুষ। জমাট বাধা আঁধার টুটে তারা ইসলামের আলোতে উদ্ভাসিত হবে।
আলোকিত করার প্রয়াসী হবে এই জাহেলী সমাজকে।
এই প্রয়োজনকে সামনে রেখে আমরা অন্ত্যন্ত পরিশ্রম করে একটি 'বহুমূখী প্রতিভা সম্পন্ন আলেম' সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০১৫ সালে 'লক্ষীপাশা দারুস্ সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা' প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই মাদ্রাসাটি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আক্বীদায় বিশ্বাসী । এই মাদ্রাসাটিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড কারিকুলাম পাঠ্য ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়।
এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
১। ইসলামী আদর্শ অটুট রেখে যোগ্য আলেম তৈরী করা।
২। আরবীতে যেমন যোগ্যতা অর্জন করবে ঠিক তেমনি ইংরেজী ও বাংলায় যোগ্যতা অর্জন করা।
৩। ইসলামের সঠিক আক্বীদা-বিশ্বাস ও নবীওয়ালা কাজ মুসলিম সমাজে প্রচার-প্রসার করা।
৪। দ্বীনের পূর্ণ হিজাফতের লক্ষ্যে এই সমাজে একদল হক্কানী রব্বানী আলেম-উলামা তৈরী করা।
অত্র মাদ্রাসার বৈশিষ্ট্যঃ
* মনোরম পরিবেশে পূর্ণ আবাসিক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত।
* সার্বক্ষণিক আবাসিক শিক্ষকদ্বারা পরিচালনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
* মাদরাসার বোর্ডিংয়ে ৩ বেলা মানসম্মত খানার এন্তেজাম।
* মক্তব-হিফজ বিভাগের ছাত্রদের সকল প্রয়োজনীয় বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ।
বিনীত
ছায়েদ আহমদ
সহ-সুপার
লক্ষীপাশা দারুস্ সুন্নাহ্ দাখিল মাদ্রাসা।
0 coment rios: